
প্রকাশিত: Wed, May 29, 2024 3:24 PM আপডেট: Wed, Apr 30, 2025 12:20 AM
মৌমাছি এক বিস্ময়!
খোন্দকার মেহেদী আকরাম
মৌমাছি এক বিস্ময়! এরা কলোনীতে দল বেঁধে বসবাস করে যেখানে থাকে একটি রানী মৌমাছি যার কাজ ডিম পারা। একটি মাত্র রানী থাকায় একটি মৌচাকের বাচ্চা মোমাছিগুলোর জিনেটিক পিউরিটি থাকে সর্বোচ্চ মাত্রায়। এই হাজার হাজার বাচ্চা মৌমাছির খাবার সংগ্রহ এবং লালন পালনে নিয়োজিত থাকে হাজার হাজার কর্মী মৌমাছি, যারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। কেউ কি জানতেন যে এই কর্মী মৌমাছিগুলো আসলে স্ত্রী লিঙ্গের মৌমাছি?
আমি আগে ভাবতাম কর্মী মৌমাছির কোনো লিঙ্গ নাই। তারা জেন্ডার নিউট্রাল! কিছুদিন আগে কোথায় যেন পড়লাম কর্মী মৌমাছি আসলে স্ত্রী লিঙ্গের। খ্রিস্টের জন্মের হাজার বছর আগে থেকেই মৌমাছি নিয়ে মানুষ গবেষণা করেছে। মৌমাছি নিয়ে অ্যারিস্টোটলেরও গবেষণা অনেক। উনার গবেষণা অনুযায়ী কর্মী মৌমাছি হলো হার্মাফ্রোডাইট বা তৃতীয় লিঙ্গের তবে তারা বাচ্চা উৎপাদনে সক্ষম। মজার ব্যাপার হলো অ্যারিস্টোটল তাঁর বইতে রানী মৌমাছিকে ‘কিং’ বা রাজা মৌমাছি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে যে কর্মী এবং রানী মোমাছি উৎপাদনে সক্ষম। তবে মাত্র সতের শতাব্দীতে গবেষণার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে কর্মী মৌমাছিরা আসলে স্ত্রী লিঙ্গের।
কোরআনে মৌমাছি নিয়ে একটি আস্ত সূরা নাযীল হয়েছে যার নাম অহ-ঘধযষ বা ঞযব ইববং, বাংলায় মৌমাছি। এই সূরাটিতে কর্মী মৌমাছিগুলোকে স্ত্রী লিঙ্গে সম্বোধন করা হয়েছে। যেমন সূরাটিতে কর্মী মৌমাছির নেকটার সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘খাওয়া’ বোঝাতে আরবি ‘কঁষর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আরবি ব্যাকরণে পুরুষদের খাওয়া বোঝাতে ‘কঁষ’ আর মহিলাদের খাওয়া বোঝাতে ‘কঁষর’ শব্দদুটি ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এখানে কর্মী মৌমাছিদের ক্ষেত্রে কঁষর শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সুতরাং কর্মী মৌমাছিরা স্ত্রী লিংগের। আবার একই সূরার আরেকটি জায়গায় কর্মী মোমাছিদের পথ অনুসরণের বর্ণনা করতে গিয়ে ‘টংষঁশর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আরবিতে মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয় তাহলো ‘টংষঁশ’। সহজভাবে বলতে গেলে ইংরেজিতে যেমন ঐরং বা ঐবৎ অথবা ঐরসংবষভ বা ঐবৎংবষভ দিয়ে পুরুষ এবং স্ত্রী লিঙ্গকে পৃথক করা হয় তেমনি আরবিতেও এই ধরনের রেওয়াজ রয়েছে। বাংলায় অবশ্য তেমনটি নেই। অর্থাৎ সূরা আন-নাহলে
(ঈযধঢ়ঃবৎ ১৬) মৌমাছিদের বর্ণনায় কর্মী মৌমাছিদের স্ত্রী লিঙ্গেই বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, কর্মী মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে এবং তাদের রয়েছে একাধিক পাকস্থলী। এখন আমরা জানি যে কর্মী মৌমাছির আসলেই দুটি পাকস্থলী থাকে। একটিতে জমা হয় ফুল থেকে সংগ্রহ করা নেকটার বা মধু এবং আরেকটিতে মৌমাছির নিজের জন্য খাবার। এসব ফ্যাক্টস কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে সেই সাত সতকে। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার এক হাজার বছর আগেই।
লেখক: গবেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
